আসলে এই অধ্যায় হতে পড়ার জিনিস অনেক তাই এই অধ্যায় এর বিষয় গুলোকে দুইটি অংশে ভাগ করে আলোচনা করলাম
প্রথম অংশ(রক্ত পর্যন্ত)
১) রক্তের pH, তাপমাত্রা, আপেক্ষিক গুরুত্ব, পরিমান। খুবই গুরুত্বপূর্ণ
২) রক্তে গ্যাসীয় পদার্থের মধ্যে নাইট্রোজেন থাকে, বিভিন্ন আয়ন এর মধ্যে HCO3- সবচেয়ে বেশি থাকে।
৩) রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান, লোহিত কনিকা, শ্বেতরক্তকনিকা ও অনুচক্রিকার আকৃতি, গড় ব্যস,গড় স্থুলতা ও পরিমান।( যতগুলো পাওয়া যাই)
৪) পলিসাইথেমিয়া ও হিমোসাইটোব্লাস্ট
৫)লোহিত কনিকা ও শ্বেতরক্তকনিকার অনুপাত ৭০০:১ (রক্তে) কিন্তু জানার বিষয় হল অস্থিমজ্জায় শ্বেতরক্তকনিকা, লোহিতরক্ত কনিকার চেয়ে বেশি থাকে কিন্তু তারা দ্রুত ভেঙ্গে যাই বলে রক্তে তাদের পরিমান কম থাকে।
৬) বেসোফিলের তিনটি কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ
৭)গ্রানুলোসাইট কে রঙ করা হয় লিশম্যন রঞ্জকে।
৮) রক্তের সাধারন কাজের শুধু শিরোনাম
৯) রক্ত তঞ্চনের ফ্যাক্টরের সংখ্যা ও এর চারটি মূল ধাপ
১০) মনে রাখবে ABO ব্লাড গ্রুপে অ্যান্টিজেনের সংখ্যা ২ টি Rh grouping এ অ্যান্টিজেনের সংখ্যা ৬ টি । মোট ৮ টি
১১) সার্বজনীন দাতা ও সার্বজনীন গ্রহীতা
১২) এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত রক্তের গ্রুপ এর সংখ্যা ১৩ টি
দ্বিতীয় অংশ(রক্ত বাহিকার পর থেকে)
![]() |
| অ্যাঁওর্টিক আর্চ থেকে উৎপন্ন ধমনী গুলোর নাম |
২)কিছু মূল শিরা কোথায় রক্ত দেই তা জানা। গাজী আজমলে একটা চিত্র আছে সেই চিত্রে যতগুলো শিরার নাম আছে সেগুলো পড়লেই হবে আশা করি। তার পর ও আমি কিছু জিনিস বলে দেইঃ
ক)ব্রাকিও= হাত সম্পর্কীয়
খ) রেডিও,ফিমোরাল, আলনার,টিবিয়াল= এগুলোর সাথে সম্পর্কীয় হাড় যেখানে আছে সেখানে রক্ত সরবারহ করবে
গ) হেপাটিক= লিভার সম্পর্কীয়
ঘ)থাইরো= থাইরয়েড সম্পর্কীয়
ঙ)সারভিকাল= ঘাড় সম্পর্কীয়
চ)ভারটিব্রাল= মেরুদণ্ড ও spinal nerve সম্পর্কিত
ছ)অ্যাঁওর্টিক আর্চ থেকে উৎপন্ন ধমনী গুলোর নাম গুরুত্বপূর্ণ
নিচের ছবিটাতে সকল শিরার অবস্থান দেওয়া আছে, তোমাদের মনে রাখতে সুবিধা হবে
৩)ডর্সাল অ্যাওর্টার প্রধান শাখা ও তাদের রক্ত দেবার স্থান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ
৪)পালমোনারি ধমনী ও শিরার মধ্যে পার্থক্য
৫)হৃৎপিণ্ডের আবরন ও এর দুইটি স্তর
৬) বাম নিলয়ের প্রাচীর ডান নিলয়ের চেয়ে তিন গুন মোটা
৭)কপাটিকা গুলোর অবস্থান
ক)ট্রাইকাস্পিড= ডান অলিন্দ ও ডান নিলয়ের মধ্যে
খ) বাইকাস্পিড=বাম অলিন্দ ও বাম নিলয়ের মধ্যে
গ)পালমোনারী শিরা ও অ্যাওর্টার মুখে অর্ধচন্দ্রাকার কপাটিকা থাকে। মনে রাখবে এগুলোও কিন্তু বাইকাস্পিড
![]() |
| সকল ধমনীঃ নাম ও অবস্থান মনে রাখার সবচেয়ে সোজা মাধ্যম |
একটা কথা জেনে রাখো আজমল স্যার এর বই তে বলা আছে অলিন্দে আগত শিরাগুলোর প্রবেশ পথ কপাটিকা বিহীন; কথা টা কিন্তু ভুল, সেখানে কপাটিকা আছে
থিবেসিয়ান কপাটিকা আর ইউস্টেশিয়ান কপাটিকা;এগুলোর অবস্থান এই বই এ আবার বিভিন্ন কপাটিকার অবস্থান ও কাজ শীর্ষক চার্টে দেখানো হয়েছে, তাই এই দুই কপাটিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ
৮)হৃৎপিণ্ডের তিনটি স্তরের নাম
৯)হৃৎপিণ্ডের মাধ্যমে রক্ত সংবহনের ছোট্ট একটি রেখাচিত্র আছে, রেখা চিত্র টি খুব গুরুত্বপূর্ণ।প্রশ্ন হতে পারে রক্ত ফুসফুস থেকে রক্ত কোথায় যাই?
১০)ডায়াস্টোল ও সিস্টোল এর সময় (১৭৩৮)
১১)"রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার" নামক শিরোনাম পুরোটা গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে পালস প্রেসার
১২) পোর্টাল শিরাতন্ত্র আর O2 এবং cO2 পরিবহন দেখে রাখতে পারো
১৩)লসিকার উপাদান সমুহ
১৪)ঘাড়ে, বগলে ও কুঁচকি তে লসিকা গ্রন্থি বেশি থাকে
১৫)বক্ষ লসিকা নালিতে লসিকা প্রবাহ মিনিটে ১-১.৫মিলি। লসিকানালি থেকে প্রতিদিন ১২০০ থেকে ২২৮০ মিলি লসিকা নিঃসরিত হয়
এই অধ্যায় এর জন্য এইটুকুই।
ভালো থেকো সবাই
৭/১২/২০১২ ০৬:২৩:০০ AM





0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন